Tuesday, July 16, 2019

এইচএসসিতে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ–৫ বেড়েছে

২০১৯ সালে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শুধু উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এর মধ্যে ফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৪১ হাজার ৮০৭ জন। অর্থাৎ, ১০ বোর্ডে যতজন জিপিএ–৫ পেয়েছেন, এর বেশির ভ।গই এইচএসসি পরীক্ষার্থী। মাদ্রাসা ও কারিগরি মিলিয়ে এবার মোট জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২৮৬ জন।

আজ বুধবার সকাল ১০টায় গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও সব বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ফলাফল–সম্পৃক্ত কিছু তথ্য তুলে ধরেন।

অন্যদিকে, এবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং জিপিএ–৫ পেয়েছেন ২ হাজার ২৪৩ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩৬ জন।

এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১০টি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন।

আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত ফলাফল প্রকাশ করবে। আর পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশ করা হবে বেলা একটায়।

গত ১ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।

Wednesday, March 27, 2019

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহত

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতির জাঙ্গালিয়া এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়েসহ আটজন নিহত হয়েছেন। বুধবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় বাসের ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে চকরিয়া ও কক্সবাজারের কয়েকটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুর্ঘটনায় নিহত আটজনের মধ্যে ছয়জনের পরিচয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর ছনখোলা নয়াপাড়া এলাকার মো. জিসানের স্ত্রী তসলিমা আক্তার (২০), তাঁর মেয়ে সাদিয়া (২), তসলিমা আক্তারের মা হাসিনা মমতাজ (৪৫), চকরিয়ার উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার ভান্ডু মিয়ার ছেলে মো. নুরুল হুদা (২৫), চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সিকদারপাড়া এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে আফজাল হোসেন সোহেল (৩০) ও বাঁশখালীর শেখেরখীল এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে মো. সায়েম (২২)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতির জাঙ্গালিয়া নামক এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বিলাসবহুল রিলাক্স পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি এসি বাসের সঙ্গে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মা-মেয়েসহ আটজন নিহত হন। সংঘর্ষে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
চকরিয়ার চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আমান উল্লাহ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দুর্ঘটনায় মা-মেয়েসহ আটজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় মিলেছে। তাঁদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের কাজ চলছে।
আমান উল্লাহ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালকও নিহত হয়েছেন। বাসের চালক ও সহকারীরা পালিয়ে গেছেন। বাস ও মাইক্রোবাসটি হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

Saturday, March 23, 2019

গত বছর ১৪ লাখ বাংলাদেশির ভারত ভ্রমণ




২০১৮ সালে সাড়ে ১৪ লাখ বাংলাদেশি নাগরিক ভারত ভ্রমণ করেছেন। ২০১৭ সালের চেয়ে এ সংখ্যা ২০ শতাংশ বেশি। চিকিৎসা, পর্যটন ও ব্যবসায়িক প্রয়োজনে এই বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশের নাগরিক দেশটি ভ্রমণ করেছেন। এই তথ্য প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি।
গতকাল শনিবার সকালে নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের স্টলে পর্যটনবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলমসহ চেম্বারের পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ভারত সব সময় আমাদের প্রকৃত ও বিশ্বস্ত বন্ধু রাষ্ট্র হয়ে সহযোগিতা করে আসছে। এ সহযোগিতার অংশ হিসেবে এবারের চট্টগ্রাম বাণিজ্য মেলায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের একটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। আগামীবারের মেলায় ভারত পার্টনার কান্ট্রি হিসেবে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করেন তিনি।’
অনিন্দ্য ব্যানার্জি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের ফলে সাধারণ মানুষ বিদেশ ভ্রমণে আগ্রহী হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কম খরচে ভ্রমণের জন্য ভারত আদর্শ গন্তব্য। ভারত ভ্রমণকে আরও সহজতর করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও নোয়াখালীতেও ভারতীয় ভিসা সেন্টার চালু করা হয়েছে।

অনুষ্ঠান শেষে সহকারী হাইকমিশনার মেলায় বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন।
এর আগে সকালে নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠের চট্টগ্রাম চেম্বারের অস্থায়ী কার্যালয়ে চেম্বার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় সভায় চেম্বার সভাপতি ছাড়াও চেম্বারের সহসভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, অঞ্জন শেখর দাশ, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ৫ মার্চ থেকে পলোগ্রাউন্ড মাঠে এই মেলা শুরু হয়। চেম্বার আয়োজিত মাসব্যাপী এই মেলায় সাড়ে চার শ দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এবারের মেলায় পার্টনার কান্ট্রি হিসেবে রয়েছে থাইল্যান্ড। পাশাপাশি মেলায় নিজস্ব পণ্য নিয়ে অংশ নিয়েছে ভারত, ইরান ও কোরিয়া। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

শুরুতেই ধোনির কাছে কোহলির হার

শুরুতেই ধোনির কাছে কোহলির হার
আইপিএলের ‘এল ক্লাসিকো’ বলতে চেন্নাই সুপার কিংস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচের দিকেই ইঙ্গিত করেন অনেকে। বিরাট কোহলি বনাম মহেন্দ্র সিং ধোনি, ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম দুই ক্রিকেট তারকার লড়াইয়ে দর্শকদের বাড়তি আনন্দ পাওয়াটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু কোহলি যেন ধোনির বিরুদ্ধে মাঠে না নামতে পারলেই বাঁচতেন! আজ চেন্নাইয়ে উদ্বোধনী ম্যাচে ধোনির দলের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে কোহলির বেঙ্গালুরু। এই নিয়ে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে টানা সাত ম্যাচ জয়হীন বেঙ্গালুরু।কাপটা কে জিতবে, তা ভবিষ্যতের জন্য তোলা থাক। তবে প্রথম ম্যাচে হেরে পিছিয়ে গেলেন বিরাট কোহলি। ছবি: এএফপিকাপটা কে জিতবে, তা ভবিষ্যতের জন্য তোলা থাক। তবে প্রথম ম্যাচে হেরে পিছিয়ে গেলেন বিরাট কোহলি। ছবি: এএফপি
টিবি স্ক্রিনে বারবার ভেসে উঠছিল কোহলির হতাশার মুখটা। সুরেশ রায়না বা অম্বাতু রায়াডুর একেকটা রান যেন তাঁর বুকে শেল হয়ে বিধছিল। অবশ্য ৭০ রানের পুঁজিতে আর কিই বা করার ছিল বেঙ্গালুরুর বোলারদের। চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানদের শুরুতে কিছুটা অস্বস্তিতে ভোগানো গিয়েছে, এই যা সান্ত্বনা। কিন্তু ম্যাচটা ধীরে ধীরে নিজেদের করে নেন রায়না ও রায়াডু। শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য ৭১ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ১৭.৪ ওভার খেলে চেন্নাই। সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে রায়াডুর ব্যাট থেকে। আর ধোনিকে তো ব্যাট হাতে নামতেই হয়নি। অন্যদিকে ১২ বল খেলে মাত্র ৬ রান করেছেন কোহলি।

দলীয় ৮ রানে শেন ওয়াটসন ফিরে গেলে রায়নার সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়েন রায়াডু। এতেই জয়ের জন্য ভালো ভিত গড়ে ফেলে চেন্নাই। দলীয় ৪০ রানের সময় রায়না (১৯) ফিরে গেলেও বাকি কাজটা সেরেছেন রায়াডু ও কেদার যাদভ। রায়াডু ব্যক্তিগত ২৮ রানে ফিরে গেলেও ১৩ রানে নটআউট ছিলেন যাদভ।

এর আগে ভয়ংকর ব্যাটিং প্রদর্শনী দিয়ে ২০১৯ সালের আইপিএল শুরু হয়েছে। মাত্র ৭০ রানে অলআউট হয়েছে বেঙ্গালুরু। প্রথমেই মনে জেগে ওঠা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাক। না, এটা আইপিএলের সর্বনিম্ন স্কোর নয়। এমনকি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরও নয়। ওতেই যে অনন্য অর্জনটা হলো না। আইপিএলের সর্বোচ্চ স্কোর বেঙ্গালুরুর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানও তাদের। সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডও (৪৯) নিজেদের দখলেই রেখেছে তারা। শুধু দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড রাজস্থান রয়্যাল (৫৮) নিজেদের কাছে রেখেছে। আজ ইনিংসের অনেক দীর্ঘ একটা সময় সেটা নিজেদের কাছে নেওয়ার ভয় দেখাচ্ছিল বেঙ্গালুরু। ভাগ্যিস, পার্থিব প্যাটেলের অমন রেকর্ড গড়তে আপত্তি জেগেছে।

ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে দলের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেছেন প্যাটেল। এ দীর্ঘ সময় মাঠে থেকেও তাঁর নামের পাশে মাত্র ২৯ রান। বলের সংখ্যা (৩৫) এর চেয়েও বেশি। তবু এই ইনিংসের জন্যই প্যাটেলের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে দল। প্যাটেলের সুবাদেই যে নিজেদের রেকর্ড নতুন করে লিখতে হয়নি তাদের। দলের ১৬ রানে ফিরে গেছেন কোহলি। তখন কে জানত, উদ্বোধনী জুটিই ইনিংসের সেরা হবে! একের পর এক ব্যাটসম্যান এসেছেন আর চেন্নাইয়ের স্পিনারদের সামনে নাকানিচুবানি খেয়েছেন। হরভজন সিং (৩ উইকেট), ইমরান তাহির (৩), রবীন্দ্র জাদেজাদের (২) বলের স্পিন, বাউন্স কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি দলটি। তারই ফল ১৭ বল হাতে রেখে ৭০ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া। অবশ্য এমন ভয়ংকর ব্যাটিং পারফরম্যান্সের পরও সর্বনিম্ন রানের শীর্ষ পাঁচ এড়াতে পেরেছে তারা, এটাই সান্ত্বনা!

১৬ বছর বয়সে দাবার বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেন ফাহাদ রহমান।

১৬ বছর বয়সে দাবার বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেন ফাহাদ রহমান।
প্রতিভা থাকলে ঠেকায় কে! বাংলাদেশের দাবাড়ু ফাহাদ রহমানকেই দেখুন। এশিয়ান জোনাল ৩.২ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ওপেন বিভাগে চমক দেখিয়েছেন সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ফিদেমাস্টার ফাহাদ। ৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে টাইব্রেকিং পদ্ধতিতে শিরোপা জয় করে পেয়েছেন বিশ্বকাপের টিকিট। এর ফলে বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে আগামী নভেম্বরে রাশিয়ায় দাবা বিশ্বকাপে খেলতে যাবেন এই কিশোর।
কী নাটকীয়তায়ই না বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছেন ফাহাদ। ক্ষণে ক্ষণে বদলেছে টুর্নামেন্টের রং। ষষ্ঠ রাউন্ড পর্যন্ত আধা পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। তাঁকে সরিয়ে শীর্ষে চলে আসেন আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব। কাল নবম অর্থাৎ শেষ রাউন্ডে আধা পয়েন্ট এগিয়ে থাকা রাজীবের প্রয়োজন ছিল জয়। তাহলেই চ্যাম্পিয়ন হন এশিয়ান ৩.২ অঞ্চলে। কিন্তু রাজীব কাল হেরে যান শেষ দিকে দারুণভাবে ফিরে আসা গ্র্যান্ডমাস্টার রিফাত বিন সাত্তারের কাছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল রিফাতেরও। তবে এই দুজনকে ছাপিয়ে শেষ বেলার চমকে চ্যাম্পিয়নের নাম ফিদে মাস্টার ফাহাদ রহমান। এতে সরাসরি ফিদে মাস্টার থেকে হয়ে গেলেন আন্তর্জাতিক মাস্টার। 

শেষ রাউন্ডে কালো নিয়ে ৪১ চালে ফাহাদ হারিয়েছেন ফিদে মাস্টার মেহেদি হাসান পরাগকে। তুলনামূলক সহজ ম্যাচ ছিল এটি তাঁর জন্য। ফাহাদ কাজের কাজটা করেছেন আসলে অষ্টম রাউন্ডে গ্র্যান্ডমাস্টার আবদুল্লাহ আল রাকিবকে হারিয়ে। তার পরও কাল রাজীব জিতলে ফাহাদ নন, রাজীবই চ্যাম্পিয়ন হতেন। কিন্তু রাজীব হেরে গেছেন রিফাতের কাছে। তৃতীয় হয়েছেন রাজীব। ৯ ম্যাচে ফাহাদের পয়েন্ট ৭। রিফাতেরও পয়েন্ট ৭। তবে দুজন যাঁদের বিপক্ষে খেলেছেন, তাঁদের গড় রেটিং হিসেবে ফাহাদ বেশি রেটিংয়ের খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলেছেন। তাই তিনি চ্যাম্পিয়ন।

কিংবদন্তি যখন মোটিভেশনাল স্পিকার


একজন বক্তা, একজন মোটিভেশনাল স্পিকার, একজন কিংবদন্তি মাখন ভাইয়ের হঠাৎ চলে যাওয়ায় সারা দেশ আজ শোকে কাতর। মাখন ভাই, এভাবে হুট করে চলে যাবেন ভাবতেও পারিনি। মাখন ভাইকে নিয়ে কত স্মৃতি! কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব? মাখন ভাই এমন স্পিকার ছিলেন, যাঁর মোটিভেশন শুনে অনেক বেকার যুবক ব্যবসায় নেমে আজ সফল। মাখন ভাইয়ের স্পিচ শুনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ইউনিটে ফেল করে আরেক ইউনিটে প্রথম হয়েছিল এক ছেলে। একবার মাখন ভাই মঞ্চে স্পিচ দিচ্ছিলেন, এক ছেলে মঞ্চে উঠে মাখন ভাইয়ের পা ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল, ‘ভাই, আপনি আমার আইডল। ফেসবুকে আমাকে ফলোয়ার লিস্টে রেখেছেন, এতে আমি ধন্য।’ শুনে মাখন ভাই বলেছিলেন, ‘ওরে বোকা, ফলোয়ার না, আজ থেকে তোর জায়গা হবে আমার ফ্রেন্ড লিস্টে।’ আহ্! কজন কিংবদন্তি এত উদার হতে পারে? এসব মহানুভবতা আমরা কোথায় পাব, মাখন ভাই? কেন চলে গেলেন? কেন, কেন?
ভক্তের শোক প্রকাশ: কিংবদন্তিতুল্য ফেসবুক সেলিব্রিটি, অ্যাকটিভ লাইকার আয়নাল ভাই আমাদের সবাইকে ছেড়ে না–ফেরার দেশে চলে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে ফেসবুকজুড়ে শোকের ছায়া। সেলিব্রিটিদের সেলিব্রিটি অ্যাকটিভ লাইকার আয়নাল ভাইয়ের অকালবিয়োগে বেদনায় নীল রং ধারণ করেছে ফেসবুক। হবে নাই–বা কেন? এই ফেসবুকের জন্য তিনি কী না করেছেন? সারা জীবন পার করেছেন ফেসবুকিং করে। প্রতি ঘণ্টায় একটা করে স্ট্যাটাস দিতেন। দেশের এমন কোনো ইস্যু ছিল না, যেটা নিয়ে তিনি লেখেননি! শুধু ভক্তদের কথা চিন্তা করে নাওয়া–খাওয়া ভুলে ফেসবুকে অ্যাকটিভ থাকতেন তিনি। রাতের পর রাত জেগে ইনবক্সে মেসেজের রিপ্লাই দিয়েছেন, দিয়েছেন কমেন্টের রিপ্লাই। পোকের রিপ্লাই দিতে গিয়ে কত বেলা যে মশা মারার সময় পাননি, তার খবর কি তোমরা রাখো হে আধুনিক জেনারেশন? খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম করে পেটে আলসার বাঁধিয়েছেন। সেই আলসারই আজ কাল হলো! নিজের দুঃখ লুকিয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে এভাবে আর কে লিখবেন? অ্যাকটিভ লাইকার আয়নাল ভাই, এভাবে চলে যেতে নেই! আমরা এখন কার স্ট্যাটাস শেয়ার করব?
ভক্তের শোক প্রকাশ: জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল স্লাম দ্য ক্লাউন ফিশের কিংবদন্তি কনটেন্ট নির্মাতা স্লাম ভাই আমাদের এতিম করে আজ ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন। জানি, একদিন সবাইকে চলে যেতে হবে, তারপরও কিছু কিছু চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হয়। স্লাম ভাইয়ের সঙ্গে কত স্মৃতি! ইউটিউবের শুরুর দিকে যখন সাবস্ক্রাইবার হচ্ছিল না, ভিউ বাড়ছিল না, ভাই তখন এক রাতেই অসম্ভব কাণ্ড করে ফেললেন। রাত জেগে এক হাজার ফেক আইডি খুলে ফেললেন তামিল নায়িকাদের ছবি দিয়ে। তারপর সেসব আইডি থেকে নিজের কনটেন্ট শেয়ার করতে লাগলেন ক্রমাগত। বিভিন্ন গ্রুপে, সংবাদপত্রের কমেন্ট বক্সে। এই যে স্ট্রাগল তিনি করেছেন, তরুণ প্রজন্ম কি এসব চিন্তা করতে পারবে? এখনকার তরুণেরা অল্পতেই সাবস্ক্রাইবার আর ভিউ চায়। তাদের উদ্দেশে আমি বলব, তোমরা স্লাম ভাইকে অনুসরণ করো। স্লাম ভাই সব সময় একটা কথা বলতেন, ‘ভিউ বাড়বে না মানে! প্রয়োজনে পাবলিকের চুলকানি তুলে দেব। তা–ও ভিউ বাড়িয়েই ছাড়ব!’
ভক্তের শোক প্রকাশ: মিউজিক্যালি ও টিকটক–দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টিকারী অভিনেত্রী ব্যাটরিনা আজ স্ট্রোক করে মারা গেছেন! খবরটা দেখার পর থেকে বারবার মনে হচ্ছে—এটা মিথ্যা হোক। কিন্তু চাইলেই কি সব হয়? মিউজিক্যালি–দুনিয়ায় এ রকম একজন ব্যাটরিনা আর কবে আসবে? ভয়েসের সঙ্গে এভাবে নিখুঁতভাবে আর কে লিপ মেলাতে পারবে? এভাবে কে আমাদের হাসাবে, কে কাঁদাবে, কে ভাবাবে? মিউজিক্যালি, টিকটক—দুই মাধ্যমেই জনপ্রিয়, গণমানুষের অভিনেত্রী কি এই দেশ আর পাবে? হায় রে দুর্ভাগা দেশ, একজন কিংবদন্তি ব্যাটরিনাকে ধরে রাখতে পারলে না! শেইম.

নিজেদের দিনে বাংলাদেশ কতটা ভয়ংকর হতে পারে শেবাগ সেটি ভালো করেই জানেন

বিশ্বকাপের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। দুই মাস পর ইংল্যান্ডে শুরু হবে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের লড়াই।



 কার হাতে উঠবে আরাধ্য শিরোপা—জানা যাবে ১৪ জুলাই লর্ডসের ফাইনাল শেষে। তবে কোন দল কেমন, সেটি এখনই বলা যায়। এবার অংশ নেওয়া ১০ দল নিয়ে যেমন বললেন বীরেন্দর শেবাগ।

ফেসবুকে নিজেদের পেজে একটা ভিডিও প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেখানে শেবাগ এক বাক্যে বলছেন প্রতিটি দল নিয়ে। অস্ট্রেলিয়া দলটা কেমন? বিরুর জবাব—'ভয়ংকর!' তবে সবচেয়ে সেরা বিশেষণ তিনি বাংলাদেশের পাশেই ব্যবহার করেছেন। বাংলাদেশ দলকে তুলনা করেছেন বাঘের সঙ্গে। ব্রাজিল ফুটবল দল যেমন 'সেলেসাও', স্পেন 'লা রোজা'; ক্রিকেটে বাংলাদেশ পরিচিত 'দ্য টাইগার্স' নামে। নিজেদের দিনে বাংলাদেশ কতটা ভয়ংকর হতে পারে শেবাগ সেটি ভালো করেই জানেন। পোর্ট অব স্পেনে ২০০৭ বিশ্বকাপে সেই হারটা ভারতীয় ওপেনারের স্মৃতিতে ভালো করেই থাকার কথা। বাংলাদেশকে নিয়ে শেবাগের মূল্যায়ন, 'তারা বাঘের মতো, নিজেদের দিনে ভালো শিকার করতে পারে।'

মজাটা হচ্ছে, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের আগে শেবাগ বলেছিলেন, 'এই দলটা খুবই অর্ডিনারি।' তাঁর এ মন্তব্যে নিয়ে কম আলোচনা-সমালোচনা হয়নি তখন! সময়ের সঙ্গে ধারণা পাল্টেছে, এখন বাঘের তকমা ব্যবহার করছেন শেবাগ। বাংলাদেশ তো আছেই। বাকি ৯ দল নিয়ে বিরু কী বলেছেন, একবারে দেখে নেওয়া যেতে পারে—

অস্ট্রেলিয়া: ভয়ংকর

বাংলাদেশ: বাঘের মতো, নিজেদের দিনে ভালো শিকার করতে পারে।

পাকিস্তান: অননুমেয়

ইংল্যান্ড: বিশ্বকাপ জেতার ভালো সম্ভাবনা আছে তাদের

নিউজিল্যান্ড: আন্ডারডগ

শ্রীলঙ্কা: ভালোবাসা যায়

দক্ষিণ আফ্রিকা: আশা করি ভালো করবে

আফগানিস্তান: নিজেদের সেরা দিনে যেকোনো দলকেই হারাতে পারে

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: খুবই ভয়ংকর দল

ভারত: যদি ভালো খেলে যেকোনো দলকেই হারাতে পারে