Thursday, March 22, 2018

যে লজ্জায় ইংল্যান্ড পড়েছে, বাংলাদেশ কখনো নয়

ad300
Advertisement

৮ রান অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড।
• এর মাঝে ৩১ রান দশম উইকেটে।

• ২০.৪ ওভার স্থায়ী হয়েছে ইংলিশদের ইনিংস।
নিউজিল্যান্ড দলে বোলার হিসেবেই জায়গা হয়েছে নিল ওয়াগনার ও টড অ্যাস্টলের। কিন্তু আজ ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের পর নির্ঘাত রাগে ফুঁসছেন তাঁরা। এমন ধারা চললে যে চাকরি হারাতে হবে তাঁদের! ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ‘বদান্যতা’য় আজ বোলিংয়ের সুযোগই পাননি ওয়াগনার-অ্যাস্টল। ট্রেন্ট বোল্ট আর টিম সাউদির সামনেই গুঁড়িয়ে গেছে ইংল্যান্ডের ইনিংস। এর আগে মাত্র ২০.৪ ওভার ব্যাট করেছে ইংল্যান্ড। জবাবে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে প্রথম দিনে ৬৯ ওভার খেলে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনের অপরাজিত ৯১ রানে এর মাঝেই পেয়ে গেছে ১১৭ রানের লিড।

টেস্ট খেলতে নেমে টি-টোয়েন্টির দৈর্ঘ্যেই কাবু ইংলিশরা! ওয়ানডের বরাদ্দ ৫০ ওভারের অর্ধেকও খেলা হয়নি তাদের। অবশ্য এমন অভিজ্ঞতা নতুন কিছু নয় ক্রিকেটের জনক হিসেবে দাবি করা দেশটির। এ পর্যন্ত পাঁচবার ২৫ ওভারের নিচে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার এ অভিজ্ঞতা হয়েছে ৯ বার। দক্ষিণ আফ্রিকারও হয়েছে ৭ বার ২৫ ওভার খেলতে না পারার অভিজ্ঞতা। অথচ কিছুদিন পরপরই যে বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এ দেশগুলো, সেই বাংলাদেশ কিন্তু এখনো এ লজ্জায় পড়েনি।

স্বল্পস্থায়ী ইনিংসের রেকর্ড

বল
রান
ম্যাচ
সাল
৭৫
৩০
দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড
১৯২৪
৯৪
৩০
দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড
১৮৯৬
৯৪
৬১
ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া
১৯০২
৯৯
৫৮
অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড
১৯৩৬
১০২
৪২
ভারত-ইংল্যান্ড
১৯৭৪
* বিভিন্ন সময়ে টেস্টে ওভারের দৈর্ঘ্য ৪, ৫ কিংবা ৮ বল হওয়ায় এখানে ওভার ব্যবহার না করে বলের সংখ্যা দেওয়া হয়েছে। 


সত্যি কথাটা হলো টেস্টে ২৫ ওভারের নিচে অলআউট হওয়ার অভিজ্ঞতা পেতে হয়েছে প্রায় সব দলকে (মোট ৩২ বার)। শুধু জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশ কখনো এমন পরিস্থিতিতে পড়েনি। টেস্টে বাংলাদেশ সবচেয়ে কম সময় উইকেটে ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২০০৭ সালে কলম্বোর পি সারা ওভালে নিজেদের সর্বনিম্ন ৬২ রানে অলআউট হওয়ার পথে ২৫.২ ওভার খেলেছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড আজ বাংলাদেশের সে ইনিংসের চেয়েও ২৮ বল কম খেলেছে। ব্যবধানটা বড়ও হতে পারত!

আজ অকল্যান্ডে ১৬তম ওভারের চতুর্থ বলে নবম উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। দলের রান তখন ২৭। টেস্টের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড মাত্রই এড়িয়েছে দলটি। তবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়াটা খুবই সম্ভব ছিল। ক্রেইগ ওভারটনের ২৫ বলে ৩৩ রান সে লজ্জা থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে ঠিক, কিন্তু দলের ইনিংসটা খুব বেশি লম্বা করতে পারেনি।

টেস্টে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড এবার তাই ‘হাতছাড়া’ হলো না নিউজিল্যান্ডের। ১৯৫৫ সালে এই অকল্যান্ডেই স্বাগতিকদের ২৬ রানে অলআউট করেছিল ইংল্যান্ড। সে ইনিংসেও কিন্তু নিউজিল্যান্ড ২৭ ওভার উইকেটে কাটিয়েছিল। টেস্টে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার। দুবার ৩০ রানে অলআউট হয়েছে দলটি। এর মাঝে ১৯২৪ সালে বার্মিংহামের ইনিংসটি ছিল ৭৫ বলের। টেস্টের স্বল্পস্থায়ী ইনিংসের সে রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনা কেউ কখনো জাগাতে পারেনি।

টেস্টে সর্বনিম্ন ইনিংসের রেকর্ড

রান
বল
ম্যাচ
সাল
২৬
১৬২
নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড
১৯৫৫
৩০
৯৪
দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড
১৮৯৬
৩০
৭৫
দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড
১৯২৪
৩৫
১১৪
দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড
১৮৯৯
৩৬
১৪০
দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া
১৯৩২
Share This
Previous Post
Next Post

Pellentesque vitae lectus in mauris sollicitudin ornare sit amet eget ligula. Donec pharetra, arcu eu consectetur semper, est nulla sodales risus, vel efficitur orci justo quis tellus. Phasellus sit amet est pharetra

0 comments: