Saturday, March 23, 2019

শুরুতেই ধোনির কাছে কোহলির হার

ad300
Advertisement
আইপিএলের ‘এল ক্লাসিকো’ বলতে চেন্নাই সুপার কিংস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচের দিকেই ইঙ্গিত করেন অনেকে। বিরাট কোহলি বনাম মহেন্দ্র সিং ধোনি, ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম দুই ক্রিকেট তারকার লড়াইয়ে দর্শকদের বাড়তি আনন্দ পাওয়াটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু কোহলি যেন ধোনির বিরুদ্ধে মাঠে না নামতে পারলেই বাঁচতেন! আজ চেন্নাইয়ে উদ্বোধনী ম্যাচে ধোনির দলের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে কোহলির বেঙ্গালুরু। এই নিয়ে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে টানা সাত ম্যাচ জয়হীন বেঙ্গালুরু।কাপটা কে জিতবে, তা ভবিষ্যতের জন্য তোলা থাক। তবে প্রথম ম্যাচে হেরে পিছিয়ে গেলেন বিরাট কোহলি। ছবি: এএফপিকাপটা কে জিতবে, তা ভবিষ্যতের জন্য তোলা থাক। তবে প্রথম ম্যাচে হেরে পিছিয়ে গেলেন বিরাট কোহলি। ছবি: এএফপি
টিবি স্ক্রিনে বারবার ভেসে উঠছিল কোহলির হতাশার মুখটা। সুরেশ রায়না বা অম্বাতু রায়াডুর একেকটা রান যেন তাঁর বুকে শেল হয়ে বিধছিল। অবশ্য ৭০ রানের পুঁজিতে আর কিই বা করার ছিল বেঙ্গালুরুর বোলারদের। চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানদের শুরুতে কিছুটা অস্বস্তিতে ভোগানো গিয়েছে, এই যা সান্ত্বনা। কিন্তু ম্যাচটা ধীরে ধীরে নিজেদের করে নেন রায়না ও রায়াডু। শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য ৭১ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ১৭.৪ ওভার খেলে চেন্নাই। সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে রায়াডুর ব্যাট থেকে। আর ধোনিকে তো ব্যাট হাতে নামতেই হয়নি। অন্যদিকে ১২ বল খেলে মাত্র ৬ রান করেছেন কোহলি।

দলীয় ৮ রানে শেন ওয়াটসন ফিরে গেলে রায়নার সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়েন রায়াডু। এতেই জয়ের জন্য ভালো ভিত গড়ে ফেলে চেন্নাই। দলীয় ৪০ রানের সময় রায়না (১৯) ফিরে গেলেও বাকি কাজটা সেরেছেন রায়াডু ও কেদার যাদভ। রায়াডু ব্যক্তিগত ২৮ রানে ফিরে গেলেও ১৩ রানে নটআউট ছিলেন যাদভ।

এর আগে ভয়ংকর ব্যাটিং প্রদর্শনী দিয়ে ২০১৯ সালের আইপিএল শুরু হয়েছে। মাত্র ৭০ রানে অলআউট হয়েছে বেঙ্গালুরু। প্রথমেই মনে জেগে ওঠা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাক। না, এটা আইপিএলের সর্বনিম্ন স্কোর নয়। এমনকি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরও নয়। ওতেই যে অনন্য অর্জনটা হলো না। আইপিএলের সর্বোচ্চ স্কোর বেঙ্গালুরুর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানও তাদের। সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডও (৪৯) নিজেদের দখলেই রেখেছে তারা। শুধু দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড রাজস্থান রয়্যাল (৫৮) নিজেদের কাছে রেখেছে। আজ ইনিংসের অনেক দীর্ঘ একটা সময় সেটা নিজেদের কাছে নেওয়ার ভয় দেখাচ্ছিল বেঙ্গালুরু। ভাগ্যিস, পার্থিব প্যাটেলের অমন রেকর্ড গড়তে আপত্তি জেগেছে।

ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে দলের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেছেন প্যাটেল। এ দীর্ঘ সময় মাঠে থেকেও তাঁর নামের পাশে মাত্র ২৯ রান। বলের সংখ্যা (৩৫) এর চেয়েও বেশি। তবু এই ইনিংসের জন্যই প্যাটেলের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে দল। প্যাটেলের সুবাদেই যে নিজেদের রেকর্ড নতুন করে লিখতে হয়নি তাদের। দলের ১৬ রানে ফিরে গেছেন কোহলি। তখন কে জানত, উদ্বোধনী জুটিই ইনিংসের সেরা হবে! একের পর এক ব্যাটসম্যান এসেছেন আর চেন্নাইয়ের স্পিনারদের সামনে নাকানিচুবানি খেয়েছেন। হরভজন সিং (৩ উইকেট), ইমরান তাহির (৩), রবীন্দ্র জাদেজাদের (২) বলের স্পিন, বাউন্স কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি দলটি। তারই ফল ১৭ বল হাতে রেখে ৭০ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া। অবশ্য এমন ভয়ংকর ব্যাটিং পারফরম্যান্সের পরও সর্বনিম্ন রানের শীর্ষ পাঁচ এড়াতে পেরেছে তারা, এটাই সান্ত্বনা!
Share This
Previous Post
Next Post

Pellentesque vitae lectus in mauris sollicitudin ornare sit amet eget ligula. Donec pharetra, arcu eu consectetur semper, est nulla sodales risus, vel efficitur orci justo quis tellus. Phasellus sit amet est pharetra

0 comments: