Thursday, March 22, 2018

রোনালদো এই ছাঁট কেন দিয়েছিলেন জানেন?

ad300
Advertisement
২০০২ বিশ্বকাপে বিচিত্র এক চুলের ছাঁট নিয়ে হাজির হয়েছিলেন রোনালদো।
ওই আসরে ৮ গোল করে ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে।
বিশ্বকাপের আগে তাঁর চোট নিয়ে অনেক লেখালেখি হচ্ছিল পত্রপত্রিকায়।
চুলের এক ছাঁটে পুরো বিশ্ব মাত! ২০০২ বিশ্বকাপ বললেই তো অন্য অনেক কিছু ফেলে রোনালদোর ওই ছাঁটের কথা মনে পড়বে। পুরো মাথা কামানো, শুধু সামনে কিছু অংশে চুল। যে ছাঁট বিশ্বজুড়ে তাঁর কত শতসহস্র ভক্ত যে নকল করেছেন, হিসাব নেই।

ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন, ফাইনালে ২ গোলসহ টুর্নামেন্টে মোট ৮ গোল করেছেন। এসবের পাশাপাশি রোনালদোর ওই চুলের ছাঁটও ছিল সমান আলোচিত। কিন্তু কেন সেই চুলের ছাঁট, সেটি নতুন করে জানালেন ব্রাজিল কিংবদন্তি। সংবাদমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করতে!

দক্ষিণ কোরিয়া-জাপানের ওই বিশ্বকাপের আগে রোনালদোর চোট নিয়েই যত কথা। সেটি থেকে সংবাদমাধ্যমের চোখ অন্যদিকে নিতেই এই ছাঁট। গত পরশু মেলবোর্নে এক অনুষ্ঠানে সেটিই জানিয়েছেন, ‘আমার পায়ে একটা চোট ছিল। সবাই সেটি নিয়েই কথা বলছিল। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম চুল কাটার, আর সামনে ওই অংশটুকু ফেলে রাখার। এরপর অনুশীলনে এলাম। সবাই আমাকে ওই ছাঁটে দেখল।’ তাতে সুবিধা কী হলো, সেটিও জানালেন, ‘সবাই তখন আমার চুল নিয়েই কথা বলা শুরু করল। চোটের কথা গেল ভুলে। আমিও তাতে অনুশীলনে আরও শান্ত, নির্ভার ও মনোযোগী হওয়ার সুযোগ পেলাম।’

তা যে চুল নিয়ে এত মাতামাতি, সেটি রোনালদোর নিজের কেমন লেগেছে? ‘আমি মোটেও ওই চুল নিয়ে গর্বিত নই। কারণ, এটা অদ্ভুত একটা ছাঁট ছিল। কিন্তু তাতে মানুষের নজর তো অন্যদিকে সরানো গেছে’—ব্রাজিল কিংবদন্তির উত্তর।

চুলের ছাঁট হোক বা অন্য কিছু—সেবার দুর্দান্ত রোনালদোর সৌজন্যেই বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছে ব্রাজিল। দেশটির পঞ্চম বিশ্বকাপ, সর্বশেষও। আরেকটি বিশ্বকাপ যখন সামনে, রোনালদোকে এবারের ব্রাজিলের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তো হবেই। হলোও। সম্ভাবনার দৌড়ে ব্রাজিলের পাশে অনুমিত কিছু নামই রেখেছেন রোনালদো, ‘বেশ কয়েকটা দল আছে, যারা ফাইনাল বা এর কাছাকাছি যাবে। জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স...। দেখা যাক কী হয়। আশা করি, ব্রাজিল আবারও জিততে পারবে।’

রোনালদোর সে স্বপ্নের ভিত্তি? তিতে আসার পর গত দুই বছরে ব্রাজিলের ফর্ম। ‘ব্রাজিল জাতীয় দলকে নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। গত দুই বছরে আমরা অনেক বদলেছি। নতুন কোচের অধীনে অনেক উন্নতি করেছি’—রোনালদোর কথার সঙ্গে সম্ভবত একমত হবেন প্রত্যেক ব্রাজিলিয়ানই। স্বপ্ন যে এক, তা কি আর বলে দিতে হয়!
Share This
Previous Post
Next Post

Pellentesque vitae lectus in mauris sollicitudin ornare sit amet eget ligula. Donec pharetra, arcu eu consectetur semper, est nulla sodales risus, vel efficitur orci justo quis tellus. Phasellus sit amet est pharetra

0 comments: