Advertisement |
কী সেই রহস্য? বিস্তারিত জানতে চাইলাম। ইসমে আজমের কথা শুনলাম। মনের ভেতর বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচল। সুন্দরবনের ভেতর তিনি নাকি প্রাচীন বন্দর, ভবনের ধ্বংসাবশেষ, হরেক রকম মাটির পাত্র, টেরাকোটা, চুড়িসহ নানা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন খুঁজে পেয়েছেন। সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে পাড় ভাঙন শুরু হওয়ায় এসব স্থাপনা বেরিয়ে আসছে বলে জানালেন তিনি।
দিনের পর দিন ঋজুর সঙ্গে তাঁর আবিষ্কার নিয়ে কথা চলল। তিনিও একের পর প্রত্নবস্তুর তথ্য, বিশ্লেষণ ও ছবি পাঠাতে থাকেন। আর আমি সেসব যাচাই করতে ইন্টারনেট ঘাঁটতে থাকি, কখনো লাইব্রেরিতে গিয়ে বই-পুস্তক জোগাড় করি। পাতার পর পাতা পড়ি। এসব বইয়ের মধ্যে সতীশচন্দ্র মিত্রের যশোহর-খুলনার ইতিহাস, এ এফ এম আব্দুল জলীলের সুন্দরবনের ইতিহাসসহ নানা বইয়ে সুন্দরবনের বসতি থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে। এই তথ্য আবার ঋজুকে জানাই। জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা এক গবেষক দল আগেই জানিয়েছে, সুন্দরবনে ৩০০ বছর আগে লবণশিল্পের কারখানা পাওয়া গেছে। যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যের আমলে সুন্দরবন এলাকায় দুর্গ, মন্দিরসহ নানা অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছিল।
ঋজু খবর দেন, যেসব স্থাপনা ও প্রত্নবস্তু খুঁজে পেয়েছেন তিনি, সেগুলো এক থেকে দুই হাজার বছর আগের। আর তাঁর খুঁজে পাওয়া স্থাপনাগুলো দু-তিন বছর ধরে দেখা যাচ্ছে। এর আগে ওই স্থাপনাগুলো সুন্দরবনের মাটির নিচে চাপা পড়ে ছিল। বেশ কয়েকটি এলাকায় বনের পাড় ভাঙা শুরু হওয়ায় তা বের হতে শুরু করেছে। ঋজু সেখানে যেতে অনুরোধ করেন।
0 comments: