Advertisement |
সাংসদ রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিনিধি দলের সদস্য সাংসদ এ কে এম এ আওয়াল, নাজমুল হক প্রধান, মনিরুল ইসলাম ও শেখ আফিল উদ্দিন।
মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক দুই লেন থেকে চার বা ছয় লেনে উন্নতি করা এখন সময়ের দাবি। দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর বেনাপোলে। সিংহভাগ আমদানি-রপ্তানি হয় এ মহাসড়ক দিয়ে। সড়কের দুই পাশের গাছ কেটে হোক, আর না কেটে হোক সড়কটি ছয় লেনে প্রশস্ত করে পুনর্নির্মাণ কতে হবে। জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সড়কটি সম্প্রসারণ প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ গাছ না কাটার দাবি তুলেছে। যে কারণে সড়কের প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ আটকে গেছে।
প্রতিনিধি দলের প্রধান সাংসদ রেজওয়ান আহম্মেদ বলেন, এ মহাসড়কের সংস্কার কাজ এক মাসের মধ্যে শুরু হবে। যে অবস্থায় রয়েছে, সেই অবস্থায় সড়কের নির্মাণ করা হবে।
এদিকে দুপুরে যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক চার লেন করার দাবিতে স্থলবন্দর সংলগ্ন সড়কের দুই পাশে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, বন্দর ব্যবহারকারী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক পুনর্নির্মাণের জন্য ৩২৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। সড়কের দুই পাশের গাছ কেটে সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত হয়। তখন যশোরের মানুষ গাছ কাটা ও গাছ রাখার প্রশ্নে দুই অংশে বিভক্ত হয়ে যায়। সম্প্রসারণ কাজ শুরু হবে এমন সময় গাছ কাটার বিপক্ষে জনমত তৈরি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ছয় মাসের জন্য গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা দেন। ফলে মহাসড়কটির সম্প্রসারণসহ নির্মাণকাজ ঝুলে যায়।
0 comments: