Thursday, March 22, 2018

চিন্তাটা এখন সৌম্য-লিটনদের নিয়ে

ad300
Advertisement
নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ দলের সিনিয়র খেলোয়াড়েরা ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন।
• সিনিয়রদের সঙ্গে সমানতালে জ্বলে উঠতে পারেননি তরুণেরা।
• এটা ভাবাচ্ছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টকে।
নিদাহাস ট্রফি না জেতার আফসোস নিয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ। তবে টানা ব্যর্থতার হতাশা নিয়ে যেভাবে সিরিজটা শুরু করেছিল বাংলাদেশ, দিন শেষে নিদাহাস ট্রফিতে প্রাপ্তি নেহাত কম নয়। সিরিজে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল, রুবেল হোসেন ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন—সেটি যেমন স্বস্তির খবর; বিপরীতে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তরুণ খেলোয়াড়দের অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্স।

৫ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন মুশফিক—৬৬.৩৩ গড়ে ১৯৯ রান। সমান ম্যাচে ৩০.৮০ গড়ে ১৫৪ রান করে ধারাবাহিক ছিলেন তামিমও। কিন্তু সিনিয়রদের সঙ্গে সমানতালে ধারাবাহিক জ্বলে উঠতে পারেননি তরুণ ব্যাটসম্যানরা। সাব্বির রহমান, লিটন দাসদের ব্যাট বিচ্ছিন্নভাবে জ্বললেও, ধারাবাহিকতা ছিল না। সাব্বিরের ব্যাট কথা বলতে ফাইনাল পর্যন্ত সময় নিল। ভারতের বিপক্ষে তাঁর ৭৭ রান যদিও লড়াইয়ের পুঁজি দিয়েছিল বাংলাদেশকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২১৪ রান তাড়া করার ম্যাচে লিটনের ১৯ বলে ৪৩ রান বাংলাদেশকে চালকের আসনে বসিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু পরে আর লিটনের কাছ থেকে এমন দুর্দান্ত ইনিংসের দেখা মিলল না। ভীষণ হতাশ করেছেন ৫ ম্যাচে ৫০ রান করা সৌম্য সরকারও।

তরুণ বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ৭ উইকেট নিয়ে রুবেলের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে শীর্ষে থাকলেও ৮.৮৫ ইকোনমি বলছে, বাঁহাতি পেসারের ওপর কতটা চড়াও হয়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা। মেহেদী হাসান মিরাজ মাত্র ১ উইকেট পেলেও তাঁর ইকোনমিটাই কিছুটা ভদ্রস্থ, সেটিও ৭.২৫। যে নাগিন উদ্‌যাপন এবার ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে, সেটির আবিষ্কারক নাজমুল ইসলামের খুব একটা সুযোগ হলো না নাচটা নেচে দেখানোর। দেখাবেন কী করে? পুরো সিরিজে ১২ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পেয়ে ৯৪ রান খরচ করে পেয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। তাসকিন আহমেদ, আবু হায়দার যে এক-দুই ম্যাচ সুযোগ পেয়েছেন, মেলে ধরতে পারেননি নিজেদের।

গত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সিনিয়রদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তরুণ খেলোয়াড়েরা কেন জ্বলে উঠতে পারছেন না? সিনিয়র-তরুণেরা কাঁধ কাঁধ মিলিয়ে দুর্দান্ত খেলেছিল বলেই তো ২০১৫ সালটা অসাধারণ গিয়েছিল বাংলাদেশের। টিম ম্যানেজমেন্টকেও যে বিষয়টি ভাবাচ্ছে, বোঝা গেল দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদের কথায়, ‘এটা নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। কোর্টনি ওয়ালশ হয়তো দু-চার দিনের মধ্যে ফিরবেন ঢাকায়। তখন বসে পরিকল্পনা করা হবে। তরুণ খেলোয়াড়েরা একেবারেই ধারাবাহিক ভালো খেলতে পারছে না। গত কয়েক বছর রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ), মুশফিক, তামিম যেভাবে ভালো করছে, তরুণেরা সেভাবে করতে পারছে না। একটু আগে একজন জানতে চাইল, সামনের সিরিজে নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া হবে কি না? নতুন খেলোয়াড় আমরা নিতে পারছি না। যদি লিটন, সাব্বির, সৌম্যর ধারাবাহিকতা থাকত, তাহলে হয়তো দু-একজন খেলোয়াড়কে পরের সিরিজে বিশ্রাম দিতে পারতাম। এটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়।’
Share This
Previous Post
Next Post

Pellentesque vitae lectus in mauris sollicitudin ornare sit amet eget ligula. Donec pharetra, arcu eu consectetur semper, est nulla sodales risus, vel efficitur orci justo quis tellus. Phasellus sit amet est pharetra

0 comments: